Your Cart
:
Qty:
Qty:
Tk
(Tk )
Tk
Remove
Remove
মধু কখন খেলে বেশি উপকার পাবেন? কী ভাবে খেতে হবে?

কখন এবং কীভাবে মধু খাবেন?
পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী পরামর্শ দিয়েছেন যে, দিনের যেকোনো সময়েই মধু খাওয়া যেতে পারে, তবে দিনের বেলা মধু খাওয়া বেশি উপকারী। কিছু ক্ষেত্রে রাতেও মধু খাওয়া যায়।
-
সকালে খালি পেটে:
- ওজন কমাতে এবং হজমশক্তি বাড়াতে, সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস উষ্ণ গরম জলে মধু ও লেবু মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি সারাদিন আপনাকে সতেজ রাখবে এবং ক্লান্তি কমাবে।
- যদি অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে, তাহলে লেবু বাদ দিয়ে শুধু উষ্ণ গরম জলে মধু মিশিয়ে অথবা এক চামচ মধু এমনিই খেতে পারেন। এটি সর্দি-কাশি বা অ্যালার্জির সমস্যা কমাতেও সাহায্য করবে, পাশাপাশি ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো রাখবে।
-
শরীরচর্চার আগে বা পরে:
- শরীরচর্চার আগে বা পরে মধু খেলে শরীর তরতাজা থাকে। ব্যায়ামের পর ক্লান্তি অনুভব করলে মধু খেলে শরীরে শক্তি ফিরবে।
-
রাতে ঘুমানোর আগে:
- যাদের ঘুমের সমস্যা আছে, তারা রাতে ঘুমানোর আগে এক চামচ মধু খেতে পারেন। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে, হজমের সমস্যা ঠিক করতে এবং শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
মধু খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
- পরিমিত পরিমাণ: একবারে এক বা দু’চামচের বেশি মধু খাওয়া উচিত নয়।
- শিশুদের জন্য: সদ্যোজাত শিশুদের মধু খাওয়ানো উচিত নয়। এতে অন্ত্রের সমস্যা হতে পারে। এমনকি বড় শিশুদেরও ঘন ঘন মধু না খাওয়ানোই ভালো, কারণ মধুর মধ্যে থাকা রেণু অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।
- ডায়াবেটিস: যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে মধু না খাওয়াই ভালো। এক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
- সংরক্ষণ: মধু ফ্রিজে রাখবেন না। ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন, না হলে মধু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
- খাঁটি মধু: বাজারে অনেক সময় ভেজাল মধু পাওয়া যায়। তাই খাঁটি এবং পরিশোধিত মধু কিনতে চেষ্টা করুন। জৈব মধু কেনার সময়ও তা পরিশোধিত কিনা, তা দেখে নিন।
মধু সকলের জন্য উপকারী হলেও, কিছু ক্ষেত্রে এটি আপনার শরীরের জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে। যদি আপনার ডায়াবেটিস বা অন্য কোনো শারীরিক অসুস্থতা থাকে, তাহলে মধু খাবেন কি না বা কী পরিমাণে খাবেন, তা জানতে আপনার চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ করে নিন।